কুমিল্লার দেবিদ্বারে অনুষ্ঠিত একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তার ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন মঞ্চে তাকে বক্তব্য দিতে দেখা গেলেও, এই প্রথম তিনি কোনো মাহফিলে আলোচনা করছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ‘পদ্মা ওয়াজ’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, যেখানে হাসনাত আবদুল্লাহ সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত অবস্থায় ওয়াজ মাহফিলে আলোচনা করতে দেখা যায়।
ভিডিওর শুরুতেই হাসনাতকে বলতে শোনা যায়, কারও কাছে অপ্রিয় হলাম, কারও পছন্দ হলো না, সেটা মুখ্য না। মুখ্য হচ্ছে আমার ইসলাম আমাকে কী বলে। আমার দ্বীন আমাকে কী শিক্ষা দেয়। সেটা যদি অপছন্দেরও হয় সেটাই আমাদের বলতে হবে। ইসলাম নিয়ে হাসনাতের এমন বক্তব্যে মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়।
আলোচনার একপর্যায়ে হাসনাত বলেন, আমি যেহেতু এই গ্রামে ছিলাম, এই গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই গ্রামে একধরনের অর্থনৈতিক বিনিময় প্রচলিত রয়েছে। যেটাকে আপনারা নাম দেন পত্তন। এটাকে যে নামেই ডাকেন না কেন, এটা সরাসরি সুদ। আমার পরিবারসহ আশপাশে অনেকেই আছেন। এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু আমরা যখন বুঝেছি, যখন পড়াশোনা করে জেনেছি, আলেমদের থেকে পরামর্শ নিয়েছি, বিশ্বাস করেন সেই দিন থেকে আমরা এই পথ থেকে ফিরে এসেছি।
একপর্যায়ে হাসনাত বলেন, এই যে আমরা দেখি টাকা থেকে টাকা বৃদ্ধি পায়, এটা অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সুদকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা সুদকে বন্ধ করে দেন। আপনারা যদি আমাদেরকে সহায়তা করেন, আমরা চেষ্টা করব সামাজিক ঋণকে সহজলভ্য করার। এ সময় তিনি বলেন, ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম দুনিয়া নিয়েও কথা বলে, দুনিয়াপরবর্তী বিষয় নিয়েও কথা বলে। আমাদের দুইটারই সমন্বয় ঘটাতে হবে।