9:26 am, Monday, 11 November 2024

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত:বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

  • SK Farid
  • Update Time : 03:33:07 pm, Saturday, 28 September 2024
  • 84

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে সরকারের নীতির অস্পষ্টতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক (ইউটিএন)। আজ বা আগামী দু-একদিনের মধ্যে এই খোলা চিঠি পাঠানো হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় খোলা চিঠি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন- পরিতাপের বিষয়, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব মানুষের ওপর হামলাও চালানো হচ্ছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন মানুষ। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে।

কবে নাগাদ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই চিঠি পাঠানো হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, আমরা চেষ্টা করবো আজকেই পাঠানোর তবে আজ সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ দু-একদিনের মধ্যেই এই চিঠি পাঠানো হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সায়েদ ফেরদৌস বলেন, আমরা সরকারকে সময় না দিয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। মালিকপক্ষের গুন্ডারা শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করছেন। মাজার, মন্দির ও বিভিন্ন শিল্পস্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখেছি একটা গোষ্ঠী আমাদের অনেক শিক্ষককে ইসলামবিদ্বেষী বলে ট্যাগ দিচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলতে পারে কিন্তু ঢালাওভাবে কেনো এসব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। সরকার পতনের আন্দোলনে সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল দলের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু তারপরও কিছু গোষ্ঠী নিজেদের মূল স্টেকহোল্ডার হিসেবে দাবি করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি কোনো সমস্যা না। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র থাকতে হবে। রাজনীতির নামে কেউ চাঁদাবাজি, হল দখল, সিট দখল করলে সেটা তো কোনো রাজনীতি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকা না থাকাটা অসুবিধা না। আইনের শাসন থাকলেই শান্তি থাকবে।

Write Your Comment

About Author Information

SK Farid

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত:বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

Update Time : 03:33:07 pm, Saturday, 28 September 2024

দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে সরকারের নীতির অস্পষ্টতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক (ইউটিএন)। আজ বা আগামী দু-একদিনের মধ্যে এই খোলা চিঠি পাঠানো হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় খোলা চিঠি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন- পরিতাপের বিষয়, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব মানুষের ওপর হামলাও চালানো হচ্ছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন মানুষ। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে।

কবে নাগাদ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই চিঠি পাঠানো হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, আমরা চেষ্টা করবো আজকেই পাঠানোর তবে আজ সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ দু-একদিনের মধ্যেই এই চিঠি পাঠানো হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সায়েদ ফেরদৌস বলেন, আমরা সরকারকে সময় না দিয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। মালিকপক্ষের গুন্ডারা শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করছেন। মাজার, মন্দির ও বিভিন্ন শিল্পস্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখেছি একটা গোষ্ঠী আমাদের অনেক শিক্ষককে ইসলামবিদ্বেষী বলে ট্যাগ দিচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলতে পারে কিন্তু ঢালাওভাবে কেনো এসব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। সরকার পতনের আন্দোলনে সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল দলের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু তারপরও কিছু গোষ্ঠী নিজেদের মূল স্টেকহোল্ডার হিসেবে দাবি করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি কোনো সমস্যা না। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র থাকতে হবে। রাজনীতির নামে কেউ চাঁদাবাজি, হল দখল, সিট দখল করলে সেটা তো কোনো রাজনীতি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকা না থাকাটা অসুবিধা না। আইনের শাসন থাকলেই শান্তি থাকবে।