4:02 am, Wednesday, 6 November 2024

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

  • Zuel Rana
  • Update Time : 08:40:39 am, Monday, 16 September 2024
  • 54
Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

সৌদি আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।

সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ।

বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্‌গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেছেন, বিশ্বমানবতার জন্য অনিন্দ্যসুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গতকাল থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। গতকাল বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পুরস্কার বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এছাড়া দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি সিদ্ধান্তত মোতাবেক দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে নানা অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

Zuel Rana

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

Update Time : 08:40:39 am, Monday, 16 September 2024

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

সৌদি আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।

সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ।

বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্‌গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেছেন, বিশ্বমানবতার জন্য অনিন্দ্যসুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গতকাল থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। গতকাল বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পুরস্কার বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এছাড়া দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি সিদ্ধান্তত মোতাবেক দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে নানা অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।