6:33 pm, Sunday, 22 December 2024

২০ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং তা বাস্তবায়নও করে চলেছে। ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ২০ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এমএসপিএ সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দেশের গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এ অনুমোদনের ফলে চলতি বছরের চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) ২০ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।

এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ছয় কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এছাড়া অক্টোবরে পাঁচ কার্গো, নভেম্বরে পাঁচ কার্গো এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে চার কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কিছু পারচেজ করার আগে নীতিগত অনুমোদন দিতে হয়। নীতিগত অনুমোদন না থাকলে পারচেজ কমিটি (ক্রয় কমিটি) অনুমোদন দিতে পারে না।

তিনি জানান, এমএসপিএ সই করা যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো। আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।

আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হতো তাহলে নতুন করে নীতিগত অনুমোদনের প্রয়োজন হলো কেন জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সচিব মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিগত সময়ে বিশেষ আইনের মাধ্যমে আমদানি হতো, কিন্তু এখন সরকারের সিদ্ধান্ত ওই আইনটি আর ব্যবহার হবে না। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার আওতায় আমদানির নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আগামীতে যেন জ্বালানির সঙ্কট না তৈরি হয় তাই বেশি পরিমাণে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

২০ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার

Update Time : 12:34:40 am, Thursday, 5 September 2024

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং তা বাস্তবায়নও করে চলেছে। ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ২০ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এমএসপিএ সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দেশের গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এ অনুমোদনের ফলে চলতি বছরের চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) ২০ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।

এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ছয় কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এছাড়া অক্টোবরে পাঁচ কার্গো, নভেম্বরে পাঁচ কার্গো এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে চার কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কিছু পারচেজ করার আগে নীতিগত অনুমোদন দিতে হয়। নীতিগত অনুমোদন না থাকলে পারচেজ কমিটি (ক্রয় কমিটি) অনুমোদন দিতে পারে না।

তিনি জানান, এমএসপিএ সই করা যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো। আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।

আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হতো তাহলে নতুন করে নীতিগত অনুমোদনের প্রয়োজন হলো কেন জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সচিব মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিগত সময়ে বিশেষ আইনের মাধ্যমে আমদানি হতো, কিন্তু এখন সরকারের সিদ্ধান্ত ওই আইনটি আর ব্যবহার হবে না। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার আওতায় আমদানির নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আগামীতে যেন জ্বালানির সঙ্কট না তৈরি হয় তাই বেশি পরিমাণে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।