১ উইকেটে ১৭১ রান থেকে ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান—শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই আফসোস করেছে আরও বড় স্কোর গড়তে না পারায়। তবে কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্বাগতিকেরা জিতেছে ১১০ রানের বড় ব্যবধানে। তাতে নিজেদের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ও ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লঙ্কানরা।
এক সময় দুদল নিয়মিতই খেলত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেটি কমে এসেছে বেশ। সব মিলিয়ে দুদলের এটি ছিল ২১তম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। এর আগে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল মাত্র দুবার—১৯৯৩ ও ১৯৯৭ সালে। সিরিজ ড্র হয়েছে তিন বার।
প্রথম ম্যাচ টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। আজ শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তাদের শুরুটা হয় বেশ ভালো। পাতুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্ডোর ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৯ রান। ৬৫ বলে ৪৫ রান করে নিশাঙ্কা ফেরার পর কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে আভিস্কার জুটিতে আসে আরও ৮২ রান।
আভিস্কা ফার্নান্ডো খেলেন ৯৬ রানের ইনিংস
আভিস্কা ফার্নান্ডো খেলেন ৯৬ রানের ইনিংসএএফপি
এরপরই শ্রীলঙ্কা ইনিংসে নামে ধস। ২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার শুরুটা হয় আভিস্কার উইকেট দিয়ে। অভিষিক্ত রিয়ান পরাগের বলে সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে এলবিডব্লু হন তিনি। একদিকে কুশল মেন্ডিস (৮২ বলে ৫৯) অবশ্য টিকে ছিলেন, আরেক মেন্ডিস, কামিন্দুর সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০-এর কাছে নিয়ে যান। কামিন্দু করেন ১৯ বলে ২৩ রান। পরাগ নেন ৩ উইকেট।
ভারতের রান তাড়ায় আরেকবার ঝোড়ো শুরু করেন রোহিত শর্মা, তবে অন্যদিকে ধীর গতির ছিলেন শুবমান গিল। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে তিনি যখন আউট হন, ভারত তার আগেই তুলে ফেলে ৩৭ রান। রোহিতও বেশিক্ষণ থাকেননি আর। ভারত এরপর উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। টপ অর্ডারে কেউ স্কোর বড় করতে পারেননি, মিডল অর্ডারেও দাঁড়াতে পারেননি কেউ। রোহিতের ২০ বলে ৩৫ রানই হয়ে থেকেছে ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর।