ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা শহরে ছয় বছর বয়সী জমজ শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৫১ জন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চালানো তীব্র বোমা হামলায় শহরের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবন ‘আল-ঘাফরি হাইরাইজ’ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে লাখো মানুষ গাজা সিটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ‘অস্বাভাবিক তীব্রতা’তে অভিযান চালিয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টার ফ্রান্সেসকা আলবানিজে অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ‘অপ্রচলিত অস্ত্র’ ব্যবহার করছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০টি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। শহরের জায়তুন এলাকাতেই আগস্টের পর থেকে ধ্বংস হয়েছে ১ হাজার ৫০০’র বেশি বাড়ি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ দাবি করেন, “সন্ত্রাসের টাওয়ার সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে।” যদিও তিনি হামাসের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে তিন সাংবাদিক—মোহাম্মদ আল-কুইফি, আইমান হানিয়ে ও ইমান আল-জামিলি। এই নিয়ে চলমান যুদ্ধে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮০ জনে, যা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর মতে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৯০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মরদেহ আটকা পড়ে আছে।