10:31 pm, Monday, 15 September 2025

ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেওয়া জমজ সেই ৬ শিশুর ৫ জনের মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেওয়া জমজ সেই ৬ শিশুর ৫ জনের মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া যমজ ৬ নবজাতকের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছে। বেঁচে থাকা একটি মেয়ে শিশুও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) স্বাভাবিকভাবে এই ৬ সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসকরা জানান, প্রিয়ার গর্ভধারণের সময়কাল ছিল মাত্র ২৭ সপ্তাহ, ফলে শিশুগুলো অত্যন্ত অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয়। এদের ওজন ছিল ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে।

প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান, নবজাতকদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে এবং বাকি তিনজনকে বেসরকারি একটি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একে একে পাঁচটি নবজাতকের মৃত্যু হয়।

মৃত শিশুদের দাফন করা হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে। আর মাতা প্রিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় নেওয়া হয়েছে।

ফারজানা জানান, প্রিয়ার স্বামী মো. হানিফ কাতার প্রবাসী। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সময়েই ধরা পড়ে তার গর্ভে পাঁচটি সন্তান রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ছয়টি সন্তান জন্ম হয়।

ঢামেকের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, গর্ভধারণের বয়স মাত্র ২৭ সপ্তাহ হওয়ায় শিশুগুলো ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। সময়মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং যত্ন পেলেও এ বয়সে জন্ম নেওয়া শিশুদের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেওয়া জমজ সেই ৬ শিশুর ৫ জনের মৃত্যু

Update Time : 09:07:38 pm, Monday, 15 September 2025

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া যমজ ৬ নবজাতকের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছে। বেঁচে থাকা একটি মেয়ে শিশুও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) স্বাভাবিকভাবে এই ৬ সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসকরা জানান, প্রিয়ার গর্ভধারণের সময়কাল ছিল মাত্র ২৭ সপ্তাহ, ফলে শিশুগুলো অত্যন্ত অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নেয়। এদের ওজন ছিল ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে।

প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান, নবজাতকদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে এবং বাকি তিনজনকে বেসরকারি একটি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একে একে পাঁচটি নবজাতকের মৃত্যু হয়।

মৃত শিশুদের দাফন করা হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে। আর মাতা প্রিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় নেওয়া হয়েছে।

ফারজানা জানান, প্রিয়ার স্বামী মো. হানিফ কাতার প্রবাসী। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সময়েই ধরা পড়ে তার গর্ভে পাঁচটি সন্তান রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ছয়টি সন্তান জন্ম হয়।

ঢামেকের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, গর্ভধারণের বয়স মাত্র ২৭ সপ্তাহ হওয়ায় শিশুগুলো ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। সময়মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং যত্ন পেলেও এ বয়সে জন্ম নেওয়া শিশুদের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।