10:15 pm, Monday, 15 September 2025

ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে আগুন

ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানা ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের সদস্যরা বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়ে মডেল মসজিদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় এসে জড়ো হয়। বিক্ষোভকারীরা এসময় সাংবাদিকদের ভিডিও করা ও ছবি তুলতে বাধা দেন। মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। ঢাকা-খুলনা এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদ ও থানা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং অফিসার্স ক্লাবে আগুন দেয়। এখনো ভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও নসিমনযোগে উপজেলা সদরের দিকে ছুটে আসছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্বের সীমা পুনর্বহালের দাবিতে তারা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে, যার দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার পালন করা হচ্ছে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে আগুন

Update Time : 08:22:36 pm, Monday, 15 September 2025

আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানা ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের সদস্যরা বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়ে মডেল মসজিদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় এসে জড়ো হয়। বিক্ষোভকারীরা এসময় সাংবাদিকদের ভিডিও করা ও ছবি তুলতে বাধা দেন। মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। ঢাকা-খুলনা এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদ ও থানা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং অফিসার্স ক্লাবে আগুন দেয়। এখনো ভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও নসিমনযোগে উপজেলা সদরের দিকে ছুটে আসছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্বের সীমা পুনর্বহালের দাবিতে তারা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে, যার দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার পালন করা হচ্ছে।