ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে জয় পেয়েছে ‘জুলাই প্রজন্ম’ এবং বিজয় হয়েছে ’৭১-এর শহীদদের আকাঙ্ক্ষার—এমন মন্তব্য করেছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের সংলগ্ন লাউঞ্জে ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা কেউ ব্যক্তিগতভাবে জয়ী হইনি। জয় হয়েছে একটি প্রজন্মের, যারা শুদ্ধ রাজনীতি চায়। জয় হয়েছে শহীদদের স্বপ্নের, যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতির নেতৃত্ব দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে দেখেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাবির প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করবে, আমরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করব।”
এছাড়া তিনি জানান, ইতোমধ্যে সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। খুব শিগগির শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করে মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, “আজ আমাদের প্রথম কার্যদিবস। গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, আমাদের লক্ষ্য ভিন্ন হলেও দায়িত্ব অভিন্ন—শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা।”
তিনি আরও জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ডাকসু থেকে নির্বাচিত ৫ জন সিনেট সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান, সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।
এস এম ফরহাদ জানান, সিনেটে প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে, তা নিয়েও সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।