বাংলা সংগীত জগতে গভীর শোক। না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন লালনসঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বরেণ্য শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছিল তার। চলতি বছরের ৫ জুলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল। তিনি জানান, “আম্মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পরে জানানো হবে।” ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী-ও খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদা পারভীনের সংগীতজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে, রাজশাহী বেতারের নজরুলসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। ১৯৭০-এর দশকে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেলেও, চিরস্থায়ী আসন গেড়ে নেন লালনসঙ্গীতে। ‘নিন্দাজ্ঞান যদি পরহে মানুষের’, ‘তোমার সৃষ্টি যদি ভুলে যাই’, ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি’—এমন অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে বহু সম্মাননায় ভূষিত হন এই বরেণ্য শিল্পী।