10:53 pm, Thursday, 11 September 2025

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও অ্যাকটিভিস্ট চার্লি কার্কের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) উতাহ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় গলায় গুলি লাগে ৩১ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিন্দা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার পরপরই উতাহের গভর্নর স্পেনসার কক্স একে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, “এটা শুধু উতাহ নয়, পুরো জাতির জন্য এক শোকাবহ দিন।”

গুলির ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারণা করছে, দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে স্নাইপার ধাঁচে গুলি চালানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার সময় অন্তত ৩ হাজার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় ছিলেন ছয়জন পুলিশ সদস্য এবং কার্কের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল।

হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। বলেন, “আমার প্রশাসন হামলাকারী এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করবে। কেউ পার পাবে না।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে চরমপন্থী বামরা চার্লি কার্কের মতো দেশপ্রেমিকদের নাৎসি কিংবা খুনি হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। এ ধরনের বক্তব্যই সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে।”

চার্লি কার্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। রাজনৈতিক সহিংসতার সাম্প্রতিক ঢেউয়ে এটি সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্পের ওপরই ২০২৪ সালে দু’বার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে।

চার্লি কার্ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী সংগঠন Turning Point USA-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন এবং রিপাবলিকান দলীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, যেভাবে বানাবেন নিজের থ্রিডি ফিগারিন

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

Update Time : 08:34:56 pm, Thursday, 11 September 2025

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও অ্যাকটিভিস্ট চার্লি কার্কের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) উতাহ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় গলায় গুলি লাগে ৩১ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিন্দা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার পরপরই উতাহের গভর্নর স্পেনসার কক্স একে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, “এটা শুধু উতাহ নয়, পুরো জাতির জন্য এক শোকাবহ দিন।”

গুলির ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারণা করছে, দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে স্নাইপার ধাঁচে গুলি চালানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার সময় অন্তত ৩ হাজার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় ছিলেন ছয়জন পুলিশ সদস্য এবং কার্কের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল।

হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। বলেন, “আমার প্রশাসন হামলাকারী এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করবে। কেউ পার পাবে না।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে চরমপন্থী বামরা চার্লি কার্কের মতো দেশপ্রেমিকদের নাৎসি কিংবা খুনি হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। এ ধরনের বক্তব্যই সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে।”

চার্লি কার্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। রাজনৈতিক সহিংসতার সাম্প্রতিক ঢেউয়ে এটি সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্পের ওপরই ২০২৪ সালে দু’বার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে।

চার্লি কার্ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী সংগঠন Turning Point USA-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন এবং রিপাবলিকান দলীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।