পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মীদের উদ্দেশে দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি কাজে না ফেরে, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় কর্মী নিয়োগ করা হবে। তবে সরকার পুরোনো কর্মীদের নিয়েই কাজ করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “হাজার হাজার লোক কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা চাই বিদ্যমান কর্মীরা ফিরে আসুক। তবে কেউ যদি নাশকতা করে বা অন্যকে কাজে বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু দাবি যৌক্তিক হলেও আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য রয়েছে। এছাড়া কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তথাকথিত ‘গণছুটিতে’ গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। এর আগে ৩০২৯ জনকে বদলি করা হয়, যার মধ্যে ৮০৩ জনকে আগের জায়গায় পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আরও দাবি ছিল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাতিলের এবং আরইবির দুর্নীতির তদন্তের। এ বিষয়ে তিনি জানান, মোট ৩৬৪টি বিভাগীয় মামলা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে এবং ৬৪টি মামলা হয়েছে আরইবিতে। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “গণছুটি কর্মসূচির পর অনেকেই কাজে ফিরেছেন, আবার কেউ কেউ বাধা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনটি জিডি করা হয়েছে।”
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের সাথে মিটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে ছুটিতে, তার সঙ্গে মিটিং হবে না। আগে কাজে ফিরুক, পরে কথা হবে।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে কোম্পানিতে রূপান্তরের চিন্তাও করা হচ্ছে। এজন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি ও কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন হবে। কর্মীদের চাকরির শর্ত ঠিক করতে নতুন বিধিমালার খসড়া তৈরি হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হবে।
শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন, “সরকার এ বিষয়ে উদাসীন নয়, বরং সহনশীল আচরণ করছে। তবে কাজ বন্ধ রেখে দাবি আদায় হবে না।”