গাজায় ইসরায়েলি হামলার দুই বছর পূর্তির মধ্যেই এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চাওয়া পশ্চিমা মিত্রদের হুমকি দিয়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ওয়াশিংটন ও তেলআভিভ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগকে “মারাত্মক ভুল” বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ‘একপাক্ষিক পাল্টা ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে। যদিও সেই ব্যবস্থাগুলো কী হতে পারে, তা খোলাসা করেননি তিনি।
ডেনমার্ক সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে সা’আর বলেন, “ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোর এই স্বীকৃতি এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে।”
একইদিনে, ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও কঠোর অবস্থান নেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে তা বড় ধরণের বিপর্যয় ডেকে আনবে। এভাবে একতরফাভাবে রাষ্ট্র গঠন করা ওসলো চুক্তির লঙ্ঘন।”
এর আগেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’কে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করা হয়। তখনই ফ্রান্স জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে তারা।
ব্রিটেনও জানায়, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি না আনলে তারাও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এরপর কানাডা, বেলজিয়াম ও অস্ট্রেলিয়াও একই পথে হাঁটার ঘোষণা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ঠেকাতে কঠোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩০ আগস্ট ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ ৮০ জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা।