8:55 am, Tuesday, 11 November 2025

সকাল থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

সকাল থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিন্ডিকেটের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রীদের মধ্যে হল ত্যাগের হার বেশি। ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং দুই প্লাটুন বিজিবি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষা চলাকালেই হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ‘জুলাই ৩৬ হল’-এর এক শিক্ষার্থী বলেন, “নিরাপত্তার অভাবেই হল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি, তবে আমরা চাই দ্রুতই সবকিছু স্বাভাবিক হোক।”

তবে ছেলেদের হলগুলোতে এখনো অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী হিমেল জানান, সোমবার সকাল ৮টার পর সব হল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘কে আর মার্কেট’ এলাকায় জড়ো হবেন এবং সেখান থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। আজ থেকে পুরো ক্যাম্পাসে ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি চলছে। কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।”

প্রসঙ্গত, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাতেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

সকাল থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

Update Time : 10:15:49 am, Monday, 1 September 2025

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিন্ডিকেটের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রীদের মধ্যে হল ত্যাগের হার বেশি। ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং দুই প্লাটুন বিজিবি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষা চলাকালেই হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ‘জুলাই ৩৬ হল’-এর এক শিক্ষার্থী বলেন, “নিরাপত্তার অভাবেই হল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি, তবে আমরা চাই দ্রুতই সবকিছু স্বাভাবিক হোক।”

তবে ছেলেদের হলগুলোতে এখনো অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী হিমেল জানান, সোমবার সকাল ৮টার পর সব হল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘কে আর মার্কেট’ এলাকায় জড়ো হবেন এবং সেখান থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। আজ থেকে পুরো ক্যাম্পাসে ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি চলছে। কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।”

প্রসঙ্গত, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাতেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।