পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় এক বৃদ্ধ মাকে নির্মমভাবে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ছেলে ও পুত্রবধূসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার ৩০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাঁথিয়ার হাপানিয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—মারধরের মূল অভিযুক্ত ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী সোনালী খাতুন (৩৫), নজরুলের দুই শ্যালক টিপু মিয়া (২৫) ও মিনার হোসেন (৩০), এবং শ্যালিকা মুর্শিদা খাতুন (২৮)।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা কাঞ্চন খাতুন (৭৫)। তার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে রাতেই ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে পুত্রবধূ সোনালী খাতুন বৃদ্ধ শাশুড়িকে মাটিতে ফেলে মারধর করছেন। কিছুক্ষণ পর ছেলে নজরুল ইসলাম মাকে গলাটিপে ধরেন এবং একপর্যায়ে তাকে মাটিতে আছাড় দিয়ে লাথি মারেন। আশেপাশে কেউ থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানান, “ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন স্থানীয়রা বাধা দিলে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্তদের আটক করা সম্ভব হয়।”
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, “এটা অত্যন্ত লোমহর্ষক ঘটনা। আটক পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”