সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী **নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে** বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাটুরাইল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সংস্থাটি।
এই অভিযান ছিল বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের দুই দিনের বিশেষ কর্মসূচির অংশ, যা ২০ ও ২১ আগস্ট যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছে। পোস্তগোলা সেতু থেকে ধোপাতিয়া বা কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীর তীর লক্ষ্য করে পরিচালিত এ অভিযানে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট জমি উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে মাঠে সহায়তা দিয়েছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্য এবং ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় এবং যে কোনো ধরনের বাধা প্রতিরোধে মোতায়েন রাখা হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এই উচ্ছেদ কার্যক্রম হাইকোর্টে করা রিট পিটিশনের আদেশ বাস্তবায়নের অংশ। ২০০৯ সালে দায়ের করা এক জনস্বার্থ রিটের আদেশে নদীর জমি দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি শুধু একটি অবৈধ স্থাপনা নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় কীভাবে নদীর সম্পদ দখল হয়েছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এবং পরিবেশ রক্ষায় কোনো ছাড় নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে থাকা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।