আলোচনার টেবিলে বসলেন বিশ্ব রাজনীতির দুই প্রভাবশালী নেতা—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই বৈঠক শেষ হলো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই। যদিও উভয়পক্ষ আলোচনাকে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ বলে অভিহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অবস্থিত অ্যাঙ্করেজ সামরিক ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয় দুই নেতার এই বৈঠক। এটি ছিল ট্রাম্প-পুতিনের সপ্তম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনই কোনো চুক্তি হয়নি। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে, আলোচনা চলবে এবং তা থেকে “ভালো কিছু” বেরিয়ে আসতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও আশাবাদী মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে, যা ভবিষ্যতে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ খুলে দিতে পারে।” তবে তিনি সেসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পুতিন আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনার দরজা খুলছে। তার ভাষায়, “যদি আমরা আলোচনার এই ধারা বজায় রাখতে পারি, তাহলে যুদ্ধের ইতি টানাও সম্ভব।”
বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। অন্যদিকে, পুতিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউরি উশাকভ।
বিশ্লেষকদের মতে, এ বৈঠকে কোনো দৃশ্যমান চুক্তি না হলেও, ভবিষ্যতের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে—দুই পক্ষই সমঝোতার পথ খোলা রাখতে চায়।