মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। নাম দেয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। টার্গেট পাকিস্তান সীমান্ত। এরপরই আলোচনায় উঠে আসে চীনের তৈরি ‘এইচ-কিউ-নাইন’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়ার ‘এস-৩০০’ এর আদলে বানানো এ প্রযুক্তি পাকিস্তান কিনেছিল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষায় আধুনিকতা আনতে। তবে বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটি কতটা কার্যকর, ঘুরপাক খাচ্ছে সেই প্রশ্ন।
বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সীমান্তে ভারত অপারেশন সিন্দুর চালানোর পর, দিল্লীর কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে ইসলামাবাদ। এরপর থেকেই আলোচনায় পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
‘এইচ-কিউ-নাইন’ মিসাইল সিস্টেম এমন এক ধরনের ব্যবস্থা, যা ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার থেকে মিসাইল ছুড়তে সক্ষম। একটি সিস্টেমে থাকে ছয় বা তারচেয়ে বেশি ট্র্যাক। আর একেকটি ট্রাকে থাকে চারটি করে মিসাইল কনটেইনার। প্রতিটি মিসাইলের ওজন প্রায় দুই টন, দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮ মিটার।
শত্রুর যুদ্ধবিমান, ক্রুজ মিসাইল, এয়ার-টু-সারফেইস মিসাইল ও ছোট ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংসে সক্ষম এ প্রতিরক্ষা সিস্টেমটি। এ থেকে ছোঁড়া মিসাইলের গতি হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব ও ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
এতে আরও আছে একটি শক্তিশালী রাডার। ১২০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্য শনাক্তে সক্ষম এটি। একসঙ্গে প্রায় ১০০টি লক্ষ্য ট্র্যাক করতে পারে এই রাডার। সক্ষম একই সময়ে ৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোয়।
এর আগে, ১৯৮০’র দশকে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির কাজ হাতে নেয় চীন। ২০০৯ সালে চীনের ৬০তম বার্ষিক সামরিক প্যারেডে প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয় এ যুদ্ধাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাট্রিয়ট’ ও রাশিয়ার ‘এস-৩০০’ সিস্টেমের অনুকরণে তৈরি করা হয় এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অপরদিকে, চীনের তৈরি এ প্রতিরক্ষা সিস্টেম পাকিস্তানের কোনো কাজে আসেনি, এমনটাই দাবি করছে ভারত। এ নিয়ে ভারতীয়দের ট্রোলিংয়েরও শিকার হচ্ছে পাকিস্তান। বলা হচ্ছে, বন্ধু দেশ চীন ঠকিয়েছে তাদের।
কিন্তু আসলেই কী তাই? ভারতের আক্রমণের পর তিনটি রাফাল, একটি সু-৩০এমকেআই, একটি মিগ-২৯ ফালক্রাম ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। তাই ধোঁয়াশা থেকেই যায় চীনের তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।