5:32 pm, Saturday, 13 September 2025

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক হতে চায় এবং তারা চান, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেত্তি সম্প্রতি ডব্লিউওআইএন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা উভয় দেশই আশা করি যে, দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যা বাংলাদেশে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করবে।”

এটি ছিল প্রথমবারের মতো যখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের বিষয়ে সরাসরি কথা বললেন। এরিক গারসেত্তি আরও বলেন, “ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায় এবং এই মুহূর্তে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।”

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা সবসময়ই বলেছেন যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকে কোনো নির্যাতনের শিকার হতে দেওয়া উচিত নয়, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এরকম হতে পারবে না।”

এ সময়, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ও বাংলাদেশে চলমান রাজনীতির বিষয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরিক গারসেত্তি মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশে সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে এগোনো উচিত।

বর্তমানে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অস্থির, এবং শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

ইসরাইলে আবারও ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আতঙ্কে লাখ লাখ ইহুদি

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

Update Time : 09:47:57 am, Friday, 17 January 2025

ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক হতে চায় এবং তারা চান, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেত্তি সম্প্রতি ডব্লিউওআইএন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা উভয় দেশই আশা করি যে, দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যা বাংলাদেশে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করবে।”

এটি ছিল প্রথমবারের মতো যখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের বিষয়ে সরাসরি কথা বললেন। এরিক গারসেত্তি আরও বলেন, “ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায় এবং এই মুহূর্তে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।”

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা সবসময়ই বলেছেন যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকে কোনো নির্যাতনের শিকার হতে দেওয়া উচিত নয়, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এরকম হতে পারবে না।”

এ সময়, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ও বাংলাদেশে চলমান রাজনীতির বিষয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরিক গারসেত্তি মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশে সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে এগোনো উচিত।

বর্তমানে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অস্থির, এবং শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।