দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল বেলায় সিউলের তার ব্যক্তিগত বাসভবনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের আগে ইউন একটি বিবৃতিতে জানান, তাকে গ্রেপ্তার করতে ৩ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা তার বাসভবনে উপস্থিত হয়, যা দেখে তিনি সহিংসতা এড়াতে নিজেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী যখন তার বাসভবনে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রবেশ করতে চেষ্টা করছিল, তখন তিনি সিআইও-এর তদন্তে সাড়া দিতে সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন, যদিও এটি একটি বেআইনি তদন্ত ছিল।
ইউনের আইনজীবীরা বলেন, তার গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অবৈধ এবং তার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এর আগে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা তার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, তবে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দেয়। তারা গাড়ি দিয়ে বাসভবনের প্রবেশপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ সময় হাজারো সমর্থক তীব্র শীতের মধ্যে তার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়, এবং সরকারবিরোধীরা সেখানে বিক্ষোভ করে।
ইউনকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা এক মাস আগে প্রথমবার ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু এবার দ্বিতীয়বারের মতো তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে, ইউন দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন, তবে জনতার প্রতিবাদে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। এর পর ১৪ ডিসেম্বর তাকে পার্লামেন্টে অভিশংসিত করা হয় এবং প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বর, দক্ষিণ কোরিয়া আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।