চীনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত নারীটি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে নরসিংদীতে বসবাস করেন। সেখানে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সংবাদ প্রকাশের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। এর ফলে করোনার সময়কার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন তারা, যতদিন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভাইরাস নিয়ে কোনো গাইডলাইন দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণ সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং জ্বরের মতো। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য কিছুটা ঝুঁকি থাকতে পারে, বিশেষত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে, করোনার মহামারির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভাইরাসের কারণে সেখানে কোনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছে না।
গত বছরের মতো, এবারও বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রথম বাংলাদেশে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়, এবং সেই থেকে এটি দেশে রয়ে গেছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করেছে, নতুন কোনো মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগেই সবাইকে সাবধানী হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।