২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্টাডি ভিসা (এফ-১) পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ইস্যু করা এফ-১ ভিসার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমে গেছে। এই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হিসেবে পুনর্বিবেচনার মধ্যে ফেলেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৬৪ হাজার ৮টি এফ-১ ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫।
কোভিড মহামারির সময়, অর্থাৎ ২০২০ সালের পর এ বছরই সবচেয়ে কমসংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা অনুমোদন করা হয়েছে। সে বছর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৬ হাজার ৬৪৬ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে ভিসা দিয়েছিল। মহামারির পর ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ৯৩ হাজার ১৮১টি এফ-১ ভিসা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ২৩৫।
তবে এফ-১ ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই কম পেয়েছে এমনটা নয়। চীনা শিক্ষার্থীরাও চলতি বছর আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ কম ভিসা পেয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৩ হাজার ৭৮১টি এফ-১ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে ইস্যু করা হয়েছিল ৮০ হাজার ৬০৩টি ভিসা।
এফ-১ ভিসা একটি নন-অভিবাসী ভিসা, যা সারা বিশ্ব থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণকালীন পড়াশোনার অনুমতি দেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ভিসার ধরন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—২০২৪ সালে ভারতীয়রা চীনা নন-ইমিগ্রান্টদের ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় বিদেশি শিক্ষার্থী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা ওপেন ডোরসের প্রতিবেদনের মতে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৩।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে। ওপেন ডোরস-২০২৪ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৮। ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৬। অর্থাৎ প্রায় ১২ হাজার কম।