3:37 pm, Sunday, 22 December 2024

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

  • Akram
  • Update Time : 06:09:09 pm, Wednesday, 27 November 2024
  • 48

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

Update Time : 06:09:09 pm, Wednesday, 27 November 2024

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।