1:38 am, Sunday, 20 October 2024

ইসরায়েলের সমস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
ইসরায়েলের সমস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা

ইসরায়েলিদের কপালে রিতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে ব্যাপতভাবে। আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা নিয়েও চিন্তিত ইসরায়েলবাসী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখার পরও যদি একজন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা করতে সক্ষম হয় হিজবুল্লাহ তবে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে পুরো ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সিজারিয়া শহরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোনটি আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ঘটনা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে হামলার সময় নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের কেউই বাসায় ছিলেন না।

শনিবার ভোরে এই হামলা সংঘটিত হয়, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। সিজারিয়া শহরটি তার বিলাসবহুল ভিলা, রোমান ধ্বংসাবশেষ ও আম্ফিথিয়েটারের জন্য শহরটি বিখ্যাত। হামলায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ড্রোন আঘাতের পর সেখানে আগুন জ্বলছিল এবং ধোঁয়া উড়ছিল।

আইডিএফ জানায়, লেবাননের দক্ষিণ থেকে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়, যার মধ্যে দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। কিন্তু একটি ড্রোন সিজারিয়ায় আঘাত হানে, যা নেতানিয়াহুর বাসভবনকে লক্ষ্য করেছিল। এই ঘটনায় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ে তেল আবিবের উত্তরে গিলিলোতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়েছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও আইডিএফের প্রধান গোয়েন্দা কার্যালয় রয়েছে। সাইরেন বাজানো হলেও ইসরায়েলি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের অ্যাপ কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সতর্ক সংকেত দেয়া হয়নি।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ড্রোন আঘাত হানার সময় কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়নি। ফলে সিজারিয়ার বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে হতবাক হয়ে যান।

একজন বাসিন্দা জানান, ড্রোন আঘাতের পর আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। ওফেক মোর নামের আরেকজন বলেন, আকাশে ড্রোনের শব্দ শুনতে পেলাম, এরপর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটল। বিস্ফোরণটি আমার বাড়ির কাছেই ঘটেছিল।

ড্রোন হামলার পাশাপাশি হিজবুল্লাহ শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে উত্তর ইসরায়েলের একাধিক শহরে শত শত রকেট ছুড়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে অন্তত ১১৫টি প্রোজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, উত্তর ইসরায়েল লক্ষ্য করে শতাধিক প্রোজেক্টাইল নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। নিয়মিত বিরতিতে অঞ্চলজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একাধিক বিবৃতির ভিত্তিতে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা নিশ্চিত হয়েছে এএফপি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি নূর ওদেহের মতে, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলার ঘটনা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ড্রোনটি লেবানন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উড়ে এসে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে। এটি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের অংশ হিসেবে বড় ধরনের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি নূর ওদেহ বলেছেন, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলার বিষয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর বাসভবন এমন একটি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ব্যাপক শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় দুর্ভেদ্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কীভাবে ফাঁকি দিয়ে হিজবুল্লাহর ড্রোন নেতানিয়াহুর বাসভবনে আঘাত হানল, তা ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

নূর ওদেহ আরও বলেন, লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গেছে ড্রোনটি। পুরো সময়ে ড্রোনটি শনাক্ত করতে পারেনি ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনকি ড্রোন হামলার সময় বাসিন্দাদের যে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে সেটিও করা হয়নি। একেবারে যেখানে আঘাত করার উদ্দেশে হিজবুল্লাহ ড্রোনটি ছুড়েছিল, সেখানেই আঘাত হেনেছে। এই ঘটনা ইসরায়েলে এবং ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।

নূর ওদেহ বলেন, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য লেবানন থেকে রকেটের বিশাল বহর ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যালিলি ও হাইফা শহরসহ উত্তর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে।

উত্তর ইসরায়েলের বৃহত্তম শহর হাইফা। কৌশলগত বন্দরনগরী হিসাবেও দেখা হয় এই শহরটিকে। যেখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বসবাস এবং দেশটির নৌবাহিনীর সদর দপ্তর রয়েছে। ওদেহ বলেন, আমরা সিজারিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সাইরেন বাজানো বন্ধ হয়ে যায়।

একদিন আগে হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে নতুন ধাঁচের অস্ত্র মোতায়েন করেছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির অপারেশন রুম থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রথমবারের মতো নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন ব্যবহার করেছেন।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

ইসরায়েলের সমস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা

Update Time : 07:25:32 pm, Saturday, 19 October 2024
ইসরায়েলের সমস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা

ইসরায়েলিদের কপালে রিতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে ব্যাপতভাবে। আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা নিয়েও চিন্তিত ইসরায়েলবাসী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখার পরও যদি একজন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা করতে সক্ষম হয় হিজবুল্লাহ তবে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে পুরো ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সিজারিয়া শহরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোনটি আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ঘটনা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে হামলার সময় নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের কেউই বাসায় ছিলেন না।

শনিবার ভোরে এই হামলা সংঘটিত হয়, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। সিজারিয়া শহরটি তার বিলাসবহুল ভিলা, রোমান ধ্বংসাবশেষ ও আম্ফিথিয়েটারের জন্য শহরটি বিখ্যাত। হামলায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ড্রোন আঘাতের পর সেখানে আগুন জ্বলছিল এবং ধোঁয়া উড়ছিল।

আইডিএফ জানায়, লেবাননের দক্ষিণ থেকে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়, যার মধ্যে দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। কিন্তু একটি ড্রোন সিজারিয়ায় আঘাত হানে, যা নেতানিয়াহুর বাসভবনকে লক্ষ্য করেছিল। এই ঘটনায় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সময়ে তেল আবিবের উত্তরে গিলিলোতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়েছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও আইডিএফের প্রধান গোয়েন্দা কার্যালয় রয়েছে। সাইরেন বাজানো হলেও ইসরায়েলি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের অ্যাপ কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সতর্ক সংকেত দেয়া হয়নি।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ড্রোন আঘাত হানার সময় কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়নি। ফলে সিজারিয়ার বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে হতবাক হয়ে যান।

একজন বাসিন্দা জানান, ড্রোন আঘাতের পর আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। ওফেক মোর নামের আরেকজন বলেন, আকাশে ড্রোনের শব্দ শুনতে পেলাম, এরপর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটল। বিস্ফোরণটি আমার বাড়ির কাছেই ঘটেছিল।

ড্রোন হামলার পাশাপাশি হিজবুল্লাহ শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে উত্তর ইসরায়েলের একাধিক শহরে শত শত রকেট ছুড়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে অন্তত ১১৫টি প্রোজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, উত্তর ইসরায়েল লক্ষ্য করে শতাধিক প্রোজেক্টাইল নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। নিয়মিত বিরতিতে অঞ্চলজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একাধিক বিবৃতির ভিত্তিতে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা নিশ্চিত হয়েছে এএফপি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি নূর ওদেহের মতে, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলার ঘটনা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ড্রোনটি লেবানন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উড়ে এসে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে। এটি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের অংশ হিসেবে বড় ধরনের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিনিধি নূর ওদেহ বলেছেন, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলার বিষয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর বাসভবন এমন একটি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ব্যাপক শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় দুর্ভেদ্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কীভাবে ফাঁকি দিয়ে হিজবুল্লাহর ড্রোন নেতানিয়াহুর বাসভবনে আঘাত হানল, তা ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

নূর ওদেহ আরও বলেন, লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গেছে ড্রোনটি। পুরো সময়ে ড্রোনটি শনাক্ত করতে পারেনি ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনকি ড্রোন হামলার সময় বাসিন্দাদের যে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে সেটিও করা হয়নি। একেবারে যেখানে আঘাত করার উদ্দেশে হিজবুল্লাহ ড্রোনটি ছুড়েছিল, সেখানেই আঘাত হেনেছে। এই ঘটনা ইসরায়েলে এবং ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।

নূর ওদেহ বলেন, নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য লেবানন থেকে রকেটের বিশাল বহর ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যালিলি ও হাইফা শহরসহ উত্তর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে।

উত্তর ইসরায়েলের বৃহত্তম শহর হাইফা। কৌশলগত বন্দরনগরী হিসাবেও দেখা হয় এই শহরটিকে। যেখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বসবাস এবং দেশটির নৌবাহিনীর সদর দপ্তর রয়েছে। ওদেহ বলেন, আমরা সিজারিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সাইরেন বাজানো বন্ধ হয়ে যায়।

একদিন আগে হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে নতুন ধাঁচের অস্ত্র মোতায়েন করেছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির অপারেশন রুম থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রথমবারের মতো নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন ব্যবহার করেছেন।