কয়েকদিন পরই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। ঘরের মাঠে এই সিরিজ হলেও ভারত যাতে বাংলাদেশকে হালকাভাবে না নেয় সেই ব্যাপারে সাবধান করেছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার।
সবশেষ সিরিজেই পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে এসেছে বাংলাদেশ দল। কাগজ-কলমের শক্তি কিংবা কন্ডিশন বিবেচনায় ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ দারুণ কিছু করতে পারে বলেই মনে করেন গাভাস্কার। অতীতে ভারতকে চমকে দেওয়ার মতো পারফর্ম অনেকবারই করেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১২ সালের এশিয়া কাপ যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও টেস্টে ভারতকে প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ৭১ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল সফরকারী ভারত। যদিও ৭১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে সেই যাত্রায় ভারতকে বাঁচান শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এসব উদাহরণ টেনে গাভাস্কার বলেছেন, ভারতের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে আগামী বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্য ভারতের কাছে ১০টি টেস্ট বাকি রয়েছে। ৭৪ পয়েন্ট ও ৬৮.৫২ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে চক্রের সবার ওপরেই আছে ভারত। যদিও দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া খুব একটা পিছিয়ে নেই। টেবিলের চার নম্বরে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে বলে মনে করেন গাভাস্কার।
মিড-ডের একটি কলামে গাভাস্কার বলেন, ‘পাকিস্তানে খেলা দুটি টেস্ট ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল দেখিয়েছে যে তারা গণনা করার মতো শক্তি। এমনকি বছর দুয়েক আগে, ভারত যখন বাংলাদেশ সফর করেছিল, তখন বাংলাদেশিরা দারুণ লড়াই করেছিল। এখন তাদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস আছে, তারা ভারতের সাথেও লড়াই করার জন্য মুখিয়ে আছে।’
গাভাস্কার আরও বলেন, ‘তাদের দলে কিছু ভালো খেলোয়াড় এবং কিছু তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় আছে, যাদের আর বিপক্ষ দলের ভয় নেই।… এখন তাদের বিপক্ষে খেলা প্রতিটি দলই জানে ভালো না খেললে তাদের (বাংলাদেশ) বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব নয়, পাকিস্তান সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। অবশ্যই একটি দেখার মতো সিরিজ হতে যাচ্ছে।’