9:47 pm, Saturday, 21 December 2024

হুবহু বাংলাদেশের মত আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে মণিপুর

শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ইম্ফল, মণিপুর, ১০ সেপ্টেম্বরছবি: এএনআই

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

কারফিউ চলাকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভারতের মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি এখন আরও থমথমে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। এদিকে গতকাল রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল ছেড়ে আসামের গুয়াহাটিতে গেছেন গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য।

মণিপুরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

গতকাল কারফিউর মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা গভর্নরের বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার কারফিউ চলাকালে ইম্ফল পশ্চিমের কাকওয়া এলাকায় মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে। একদিকে শিক্ষার্থীরা পাথর ছুড়ছেন, অপর দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের পর রাজ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পাশাপাশি রাজধানী ইম্ফলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে লোকজন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

রাজভবনের অদূরে সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল রাতেই ১১ শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য। এরপর গতকাল ইম্ফল ছেড়ে গুয়াহাটি যান তিনি। লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য আসামের গভর্নরের পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে মণিপুরের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সব পরীক্ষা বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

হুবহু বাংলাদেশের মত আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে মণিপুর

Update Time : 10:50:24 pm, Wednesday, 11 September 2024

কারফিউ চলাকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভারতের মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি এখন আরও থমথমে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। এদিকে গতকাল রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল ছেড়ে আসামের গুয়াহাটিতে গেছেন গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য।

মণিপুরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

গতকাল কারফিউর মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা গভর্নরের বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার কারফিউ চলাকালে ইম্ফল পশ্চিমের কাকওয়া এলাকায় মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে। একদিকে শিক্ষার্থীরা পাথর ছুড়ছেন, অপর দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের পর রাজ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পাশাপাশি রাজধানী ইম্ফলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে লোকজন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

রাজভবনের অদূরে সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল রাতেই ১১ শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য। এরপর গতকাল ইম্ফল ছেড়ে গুয়াহাটি যান তিনি। লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য আসামের গভর্নরের পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে মণিপুরের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সব পরীক্ষা বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।