3:13 pm, Sunday, 22 December 2024

লুটপাটের মহোৎসব বিদ্যুৎ খাতে

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

‘যারা কুইক রেন্টাল নিয়ে বেশি কথা বলবে তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে’- এমন হুমকি দিয়ে সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শাসনামলের ১৫ বছর এ খাতে লুটপাটের সব বড় ফাঁদ উন্মুক্ত করে দেন। পাশাপাশি ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গুটি কয়েক কোম্পানির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার পথ প্রশস্ত করেন। যার দায়ভার এখন শুধু বিদ্যুৎ বিভাগই নয়, সারাদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিদ্যুৎ খাত ‘খোলা’ হয়ে গেছে; ভেতরে কিছু নেই। ক্যাবের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও আমলে নেওয়া হয়নি। এ মুহূর্তে দেশের সব উন্নয়ন বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর নজর দেওয়া জরুরি, তা না হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত যদি ধসে যায় তাহলে গোটা অর্থনীতি বালুর বাঁধের মতো তছনছ হয়ে যাবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সব চুক্তি খতিয়ে দেখতে টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। এই টাস্কফোর্স চুক্তি খতিয়ে দেখে বাতিল করার পরামর্শ দেবে এবং কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি পেমেন্টের যৌক্তিক পুনর্মূল্যায়ন করবে। আগামী তিন বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো যাবে না। এসব না করা গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত যেভাবে ডুবেছে, তাকে আর ভাসানো যাবে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা যার বেশিরভাগই গেছে এসব রেন্টাল বা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালন ব্যয়ে। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

লুটপাটের মহোৎসব বিদ্যুৎ খাতে

Update Time : 04:03:09 pm, Saturday, 17 August 2024

‘যারা কুইক রেন্টাল নিয়ে বেশি কথা বলবে তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে’- এমন হুমকি দিয়ে সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শাসনামলের ১৫ বছর এ খাতে লুটপাটের সব বড় ফাঁদ উন্মুক্ত করে দেন। পাশাপাশি ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গুটি কয়েক কোম্পানির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার পথ প্রশস্ত করেন। যার দায়ভার এখন শুধু বিদ্যুৎ বিভাগই নয়, সারাদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিদ্যুৎ খাত ‘খোলা’ হয়ে গেছে; ভেতরে কিছু নেই। ক্যাবের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও আমলে নেওয়া হয়নি। এ মুহূর্তে দেশের সব উন্নয়ন বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর নজর দেওয়া জরুরি, তা না হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত যদি ধসে যায় তাহলে গোটা অর্থনীতি বালুর বাঁধের মতো তছনছ হয়ে যাবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সব চুক্তি খতিয়ে দেখতে টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। এই টাস্কফোর্স চুক্তি খতিয়ে দেখে বাতিল করার পরামর্শ দেবে এবং কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি পেমেন্টের যৌক্তিক পুনর্মূল্যায়ন করবে। আগামী তিন বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো যাবে না। এসব না করা গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত যেভাবে ডুবেছে, তাকে আর ভাসানো যাবে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা যার বেশিরভাগই গেছে এসব রেন্টাল বা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালন ব্যয়ে। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ।