কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন আবাসিক হলের কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া দেশি অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার বিকেলে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে এসব অস্ত্র ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান আজ রাত নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোতে ভাঙচুর করেন। সে সময় দেশি অস্ত্র ও মদের বোতল পাওয়া যায়। অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মদের ১৯টি খালি বোতল পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় বাকি কক্ষগুলোতে অভিযান চালানো হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে তিনটি গাড়িতে সেনাসদস্যরা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে পাওয়া ১টি অব্যবহৃত পুরোনো পিস্তল, ৬টি বুলেট, ১টি গ্রেনেড, ১০টি রামদা, ৮টি চাপাতি, ১টি চায়নিজ কুড়াল, ২টি হকিস্টিক, ২টি হ্যান্ডস্টিক, ৬টি জিআই পাইপ, ৪৯টি রড, ৩টি লোহার শিক, পটকা বোমা ৩ প্যাকেট, ৫০০ গ্রাম ককটেল বারুদ, ২০০ গ্রাম পেট্রল, ৩০০টি মার্বেল, ১৯টি মদের খালি বোতল, ২টি ফেনসিডিলের খালি বোতল, ৯টি ইয়াবা স্টিক, ৫টি গাঁজা সেবনের বাঁশি বের করা হয়। অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনী ও মাদক সংশ্লিষ্ট সামগ্রীগুলো ইবি থানা–পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের কাছে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, থানার এসআই মেহেদী হাসান ছোট–বড় মিলে মদের চারটি খালি বোতল পেয়েছেন। সেগুলো রাখা আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এ জন্য সে সময় কোনো অভিযান চালানো হয়নি। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করছে। এটা শিক্ষার্থীরা ভালো কাজ করেছে। প্রশাসনের নির্দেশনা নিয়ে আরও অভিযান চালানো হবে।