6:02 pm, Sunday, 22 December 2024

শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলা সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলা সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বরগুনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে একটি পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের কারণটি তিনি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।

এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন।

মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি (ঘাবড়াবেন না) অর্থাৎ মনোবল হারাবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কিভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বরগুনা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে কয়েকশ’ নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় জানান। প্রায় একই দাবিতে বিক্ষোভ হয় গোপালগঞ্জেও।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলা সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

Update Time : 04:49:10 pm, Wednesday, 14 August 2024

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বরগুনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে একটি পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের কারণটি তিনি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।

এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন।

মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি (ঘাবড়াবেন না) অর্থাৎ মনোবল হারাবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কিভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বরগুনা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে কয়েকশ’ নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় জানান। প্রায় একই দাবিতে বিক্ষোভ হয় গোপালগঞ্জেও।