1:24 pm, Thursday, 9 October 2025
মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরত আবেদন নামঞ্জুর, ফরেনসিক রিপোর্ট ১১ নভেম্বর ধার্য

পাসপোর্ট ফেরত দেননি আদালত, কাঁদলেন মেঘনা আলম

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় অভিযুক্ত মডেল ও সাবেক প্রতিযোগী মেঘনা আলমের জব্দ পাসপোর্ট ফেরত চাওয়ার আবেদন মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামঞ্জুর করেছেন। প্রেসেন্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন। শুনানির পর মেঘনা আলম সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্না করেন এবং নিজের দাবি–অপরাধ থেকে মুক্তি দাবি করেন।

গত ২৯ জুলাই মেঘনা আলমের পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তখন এসব ডিভাইসে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং মালিকানা যাচাই করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছিল।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যড়লব (আজকের দিন) পর্যন্ত ফরেনসিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে না পারায় শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুন অর রশিদ আবেদন নামঞ্জুরের পক্ষে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর এবং মোবাইল-ল্যাপটপে পাচার বা ব্ল্যাকমেইলের আলামত থাকতে পারে; পাসপোর্ট ফেরত দিলে আসামি দেশে ফিরে পালিয়ে যেতে পারে।

আদালত ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ১১ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন এবং সে পর্যন্ত পাসপোর্ট আবেদন নামঞ্জুর রাখা হয়।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সামনে মেঘনা আলম কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন যে তিনি অপমানিত হয়েছেন এবং ন্যায়বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার আইনজীবী অধিবেশনে উল্লেখ করেন, মেঘনার সামনে বিদেশে অংশগ্রহণের একটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রোগ্রাম রয়েছে; রিটার্ন টিকিটসহ প্রয়োজনীয় নথি আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তারা।

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল; পরে জামিন মঞ্জুর হয়ে তিনি কারামুক্ত হন। মামলায় অভিযোগ হয়েছে— মেঘনা আলম ও তাদের সমন্বিত চক্র কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। মামলায় নাম জড়ানো অন্য ব্যক্তি–দেওয়ান সমির জাতীয়-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক পরিচয়ে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত এখনও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

Tag :

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরত আবেদন নামঞ্জুর, ফরেনসিক রিপোর্ট ১১ নভেম্বর ধার্য

পাসপোর্ট ফেরত দেননি আদালত, কাঁদলেন মেঘনা আলম

Update Time : 06:04:07 pm, Tuesday, 30 September 2025

ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় অভিযুক্ত মডেল ও সাবেক প্রতিযোগী মেঘনা আলমের জব্দ পাসপোর্ট ফেরত চাওয়ার আবেদন মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামঞ্জুর করেছেন। প্রেসেন্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন। শুনানির পর মেঘনা আলম সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্না করেন এবং নিজের দাবি–অপরাধ থেকে মুক্তি দাবি করেন।

গত ২৯ জুলাই মেঘনা আলমের পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তখন এসব ডিভাইসে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং মালিকানা যাচাই করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছিল।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যড়লব (আজকের দিন) পর্যন্ত ফরেনসিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে না পারায় শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুন অর রশিদ আবেদন নামঞ্জুরের পক্ষে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর এবং মোবাইল-ল্যাপটপে পাচার বা ব্ল্যাকমেইলের আলামত থাকতে পারে; পাসপোর্ট ফেরত দিলে আসামি দেশে ফিরে পালিয়ে যেতে পারে।

আদালত ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ১১ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন এবং সে পর্যন্ত পাসপোর্ট আবেদন নামঞ্জুর রাখা হয়।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সামনে মেঘনা আলম কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন যে তিনি অপমানিত হয়েছেন এবং ন্যায়বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার আইনজীবী অধিবেশনে উল্লেখ করেন, মেঘনার সামনে বিদেশে অংশগ্রহণের একটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রোগ্রাম রয়েছে; রিটার্ন টিকিটসহ প্রয়োজনীয় নথি আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তারা।

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল; পরে জামিন মঞ্জুর হয়ে তিনি কারামুক্ত হন। মামলায় অভিযোগ হয়েছে— মেঘনা আলম ও তাদের সমন্বিত চক্র কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। মামলায় নাম জড়ানো অন্য ব্যক্তি–দেওয়ান সমির জাতীয়-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক পরিচয়ে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত এখনও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।