বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রচেষ্টা চলছে এবং ঘটছে ধর্মভিত্তিক বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, একটি গোষ্ঠী ও কোনো রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে জাতিকে বিভক্ত করতে চায় — এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার রাতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। মানুষ ভোটের প্রচারণায় নেমে পড়েছে। যারা এখন ইস্যু সৃষ্টি করে ভোটকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে জনগণ চিহ্নিত করে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।”
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘বিতাড়িত সরকার ও তাদের মিত্ররা নির্বাচনের আগে দেশ অস্থিতিশীল করার জন্য চুরিকৃত সম্পদ দিয়ে তথ্যবিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে’ এবং কেউ চাইছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করুক। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন যাতে বিলম্বিত হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে, এমনকি কিছু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তাদের সমর্থন আছে।”
বিএনপি নেতা বলেন, তার আন্দোলন ‘ঐক্যবদ্ধ সমন্বয়ের রাজনীতি’—হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম, পাহাড়ি ও সমতলীয় সকল নাগরিক মিলিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন চাই না; ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চাই না। সকলেই এখানে সিটিজেন — সাংবিধানিকভাবে সবাই সমান অধিকারপ্রাপ্ত।”
তিনি অতীতের দিকে তাকিয়ে বলেন, “গেল ঊর্ধ্বগামী বছরে কিছু ফ্যাসিবাদী শক্তি মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে; ভোটের বাক্স হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেখান থেকে সবাইকে বেরিয়ে এসে সংহত হতে হবে।”
দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, এই উৎসব শুধুমাত্র উৎসব নয় — এটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক। গত ১৬ বছরে তারা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যে অর্জন করেছে, তা এখনো পুরোপুরি সমাপ্ত নয়; তাই এখন সময় ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের।
পরিশেষে তিনি জানান, বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ের সময় সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় সম্পত্তি সংক্রান্ত যৌক্তিক দাবি-দাওয়াগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে; দেবত্ব সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তি, সংখ্যালঘু কমিশন ও ফাউন্ডেশন স্থাপনার বিষয়গুলো ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং এ নিয়ে পুনরায় আলোচনা করা হবে।