4:33 pm, Thursday, 9 October 2025

‘বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে’

‘বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে’। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসনে বিএনপি ও জামায়াতের ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ নিয়ে দখলদারি শুরু হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “গণমাধ্যমকে এখনো ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ মিডিয়া যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের অংশ হতে চায়, তাহলে তাকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্ট প্রভাবমুক্ত না করলে মিডিয়াও কখনোই সত্যিকার স্বাধীনতা পাবে না।”

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। সব গোষ্ঠীর উর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক ঐকমত্যই পারে গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ জায়গায় নিয়ে যেতে।”

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্য বক্তারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের অনিয়ম দীর্ঘদিনের, তবে অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধনের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগায়নি। অনেকে বলেন, সরকার বদলালে কোনো কোনো গণমাধ্যমের চরিত্রও বদলে যায়।

এছাড়া সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তথ্য নিয়ন্ত্রণ, হলুদ সাংবাদিকতার প্রসার এবং আইনের শাসনের অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আলোচকরা।

তাদের মতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ফিরবে এবং হলুদ সাংবাদিকতা কমে আসবে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

‘বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে’

Update Time : 06:43:09 pm, Sunday, 28 September 2025

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসনে বিএনপি ও জামায়াতের ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ নিয়ে দখলদারি শুরু হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “গণমাধ্যমকে এখনো ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ মিডিয়া যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের অংশ হতে চায়, তাহলে তাকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্ট প্রভাবমুক্ত না করলে মিডিয়াও কখনোই সত্যিকার স্বাধীনতা পাবে না।”

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। সব গোষ্ঠীর উর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক ঐকমত্যই পারে গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ জায়গায় নিয়ে যেতে।”

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্য বক্তারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের অনিয়ম দীর্ঘদিনের, তবে অন্তর্বর্তী সরকার তা সংশোধনের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগায়নি। অনেকে বলেন, সরকার বদলালে কোনো কোনো গণমাধ্যমের চরিত্রও বদলে যায়।

এছাড়া সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তথ্য নিয়ন্ত্রণ, হলুদ সাংবাদিকতার প্রসার এবং আইনের শাসনের অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আলোচকরা।

তাদের মতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ফিরবে এবং হলুদ সাংবাদিকতা কমে আসবে।