ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় একদিনেই আরও ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ গেছে ৪৮ জনের। নিহতদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল মধ্য গাজার সারায়া এলাকায় বেসামরিক জনগণের ওপর সরাসরি বোমাবর্ষণ করেছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, তবুও ইসরায়েলের আগ্রাসন থেমে নেই।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গাজায় সব লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত তারা অভিযান বন্ধ করবেন না। বরং প্রয়োজন হলে হামলার মাত্রা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে গেল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আটটি মুসলিম দেশের নেতারা। বৈঠকে ট্রাম্প তাদের সামনে একটি ২১ দফার প্রস্তাব পেশ করেন। বৈঠক শেষে একাধিক মুসলিম নেতা জানান, আলোচনার পরিবেশ ভালো ছিল এবং ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় আগামী সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখনই পরিষ্কার হবে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে নেবে কি না।
তবে নেতানিয়াহু ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, গাজায় তাদের সামরিক অভিযান চলমান থাকবে। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা হয়তো যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।”