গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এবং সেই প্রশাসনের প্রধান হিসেবে এক বিতর্কিত নাম উঠে এসেছে টনি ব্লেয়ার। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ইরাক আক্রমণ করেছিলেন, এখন তিনি ‘ইরাকের কসাই’ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গাজায় গঠিত হতে যাওয়া নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পদে টনি ব্লেয়ারকে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রশাসনটি হবে একটি ‘টেকনোক্র্যাট’ ভিত্তিক সরকার, যেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। প্রাথমিকভাবে গাজার দায়িত্ব পালন করবে এই প্রশাসন, এবং পাঁচ বছর পর এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, টনি ব্লেয়ারকে এই অন্তর্বর্তী বোর্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে, ব্লেয়ারের অলাভজনক সংস্থা Blair Institute for Global Change এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই খবরের পর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, যিনি একসময় মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি কিভাবে গাজার মতো একটি সংকটপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকা নেবেন?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আটজন মুসলিম নেতার বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি পরিকল্পনার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়। ওই প্রস্তাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, টনি ব্লেয়ার এই পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন এবং গাজার জনগণের উচ্ছেদ কিংবা দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে, সাবেক ইসরায়েলি গোয়েন্দা প্রধান ইয়ুসি কোহেন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, টনি ব্লায়ের গাজার নেতৃত্বে আসার পরিকল্পনায় তিনি ‘খুশি’।