প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিতে আগামীকাল (রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর) ইতালি হয়ে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। রবিবারের আগেই শনিবার রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম বলেন, গাজায় বর্তমানে গণহত্যা চলছে—ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার শিকার করা হচ্ছে। তিনি বিশ্ববাসীর প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এই মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন।
দৃকের পরিচালক ও বক্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—নৃবিজ্ঞানী ও লেখক রেহনুমা আহমেদ, দৃকের জেনারেল ম্যানেজার ও কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান, দৃকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. কামাল হোসেন ও সাংবাদিক-গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ। সায়দিয়া গুলরুখ বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনের পর গাজা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে এবং সেখানে মানবিক সংকট ও দুর্ভিক্ষ চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে ৩০ আগস্ট থেকে ত্রাণসহ প্রায় ৫০০ জন নাগরিক গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে ইসরায়েল ইতিমধ্যেই দুইবার আক্রমণ করেছে; বর্তমানে নৌবহরটি গাজার পথে বিপজ্জনক এলাকায় অবস্থান করছে। শহিদুল আলম জানান, মিডিয়া ফ্লোটিলাটি গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অংশ, একটি বড় নৌকা এবং এর সঙ্গে আরও প্রায় ১০টি ছোট নৌকা রয়েছে।
প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম বলেন, বর্তমানে ৪৪টি দেশের অংশগ্রহণের কথা বলা হচ্ছে; সংখ্যা বাড়তে পারে এবং সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি জানিয়েছেন, তার জ্ঞান মতে সম্ভবত প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে কেউ এই ফ্লোটিলায় যোগ দিচ্ছেন।
দৃক দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সংহতি বজায় রেখেছে—এই প্রসঙ্গটাও সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। রেহনুমা আহমেদ শেষভাগে বলেন, পশ্চিমা সমর্থিত এই আক্রমণের বিরুদ্ধে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে এবং ফ্লোটিলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে তারা গর্বের বিষয় হিসেবে দেখেন।
শহিদুল আলম রবিবার ইতালি হয়ে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন।