জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ছাড়া স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ ঘোষণা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক পরিসরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ম্যাক্রোঁ তার ভাষণে বলেন, “শান্তির সময় এসেছে, যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে। নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। যেসব মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের দুর্দশার অবসান ঘটাতে হবে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে আমরা স্থায়ী শান্তির সুযোগ হারাব।”
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ইসরায়েলের অধিকার কেড়ে নেওয়া নয়। বরং, ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করা মানেই উভয় জাতির ন্যায্য অধিকারকে সমানভাবে মর্যাদা দেওয়া।
ফ্রান্স ছাড়াও অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সান মারিনো ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানান ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, এসব দেশ গত জুলাই মাসে শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এ সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হামাসের হাতে আটক ৪৮ জন জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি জানান এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “এখন আর অপেক্ষার সময় নেই। চলমান যুদ্ধের কোনো ন্যায্যতা নেই। আমাদের দায়িত্ব এই যুদ্ধের চূড়ান্ত অবসান ঘটানো।”
আন্তর্জাতিক মহলে ফ্রান্সের এই ঘোষণা ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।