সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পেনশন-সংক্রান্ত সুবিধায় বড় পরিবর্তনের পথে সরকার। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেনশন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের জটিলতা দূর করতে নতুন কিছু সুপারিশ ও নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো:
১. পেনশন পুনঃস্থাপনের সময়সীমা ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
২. পেনশনভোগীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকেও নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন প্রদানের প্রস্তাব থাকছে।
৩. জটিল রোগে আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
৪. প্রবাসে কর্মরত কর্মকর্তাদের পেনশন প্রক্রিয়া সহজ করতে মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে।
৫. শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানো ও পেনশন পুনঃস্থাপনের পর পূর্ণ ভাতার সুবিধা যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬. অবসর নেওয়ার সময় এককালীন পুরো পেনশন যারা তুলেছেন, তাদের পুনরায় মাসিক পেনশন সুবিধার আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জনপ্রশাসন সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। নতুন সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে অর্থ বিভাগ ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং পেনশন ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে তোলা।