12:24 pm, Sunday, 14 September 2025

স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক

স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

কক্সবাজার শহরের কলাতলী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকা থেকে রঞ্জন চাকমা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় পালানোর সময় ঘাতক বীরেল চাকমাকে (৫৪) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, ঘাতক বিরেল চাকমা নিহত রঞ্জন চাকমা ও তার স্ত্রীর পূর্ব পরিচিত। তাদের সকলের বাড়ি রাঙ্গামাটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস ধরে কক্সবাজারের ঝিলংজার উত্তরণ আবাসিকের ভেতরে ভাড়া থাকেন। আর নিহত রঞ্জন ও তার স্ত্রী রাঙ্গামাটি থেকে আনারস নিয়ে কক্সবাজারে বিক্রি করতে আসে। পরিচয়ের সুবাদে আশ্রয় নেন পরিচিত বিমলের বাসায়।

ওসি আরও জানান, শনিবার রাতে বিরেল, রঞ্জন একসঙ্গে মদপান করছিলেন। এর ফাঁকে পাশের কক্ষে গিয়ে রঞ্জনের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বিরেল। নিপীড়িত হয়ে স্ত্রী রুম থেকে বেরিয়ে দৌঁড়ে স্বামী রঞ্জনকে বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে বিরেল ও রঞ্জন বাকবিতণ্ডায় জড়ায় কিছু সময়। পরে রঞ্জনকে ছুরি দিয়ে জবাই করে খুন করে বিরেল ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিলো। কিন্তু রক্তমাখা হাত দেখে কয়েকজন স্থানীয় তাকে আটকিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে জবাই করা রক্তাক্ত মরদেহের পাশে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বিলাপ করছেন স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে বিরেলই খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। একই কথা জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রীও।

জানা যায়,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ঘাতককে আটক এবং মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় মরদেহ জড়িয়ে কান্না করছিল হতভাগা স্ত্রী।

ওসি ইলিয়াস বলেন, ঘাতক থানা হাজতে আছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের আলামত থাকায় নিহতের স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এদিকে অপর সূত্র বলছে, বিরেল ও রঞ্জন চাকমা স্থানীয় সুপারির বাগানে চাকুরী করতো। আবার আরেক সূত্র বলছে রঞ্জন চাকমা ও তার স্ত্রী রাঙ্গামাটি থেকে আনারস এনে কক্সবাজারে বিক্রি করে। আর আশ্রয় দিয়ে বাসায় স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা এবং রঞ্জন কে খুন করা হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। চাকমা পরিবার বলে স্থানীয়রা তাদের ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর রাখতো না।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক

Update Time : 12:08:22 pm, Sunday, 14 September 2025

কক্সবাজার শহরের কলাতলী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকা থেকে রঞ্জন চাকমা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় পালানোর সময় ঘাতক বীরেল চাকমাকে (৫৪) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, ঘাতক বিরেল চাকমা নিহত রঞ্জন চাকমা ও তার স্ত্রীর পূর্ব পরিচিত। তাদের সকলের বাড়ি রাঙ্গামাটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস ধরে কক্সবাজারের ঝিলংজার উত্তরণ আবাসিকের ভেতরে ভাড়া থাকেন। আর নিহত রঞ্জন ও তার স্ত্রী রাঙ্গামাটি থেকে আনারস নিয়ে কক্সবাজারে বিক্রি করতে আসে। পরিচয়ের সুবাদে আশ্রয় নেন পরিচিত বিমলের বাসায়।

ওসি আরও জানান, শনিবার রাতে বিরেল, রঞ্জন একসঙ্গে মদপান করছিলেন। এর ফাঁকে পাশের কক্ষে গিয়ে রঞ্জনের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বিরেল। নিপীড়িত হয়ে স্ত্রী রুম থেকে বেরিয়ে দৌঁড়ে স্বামী রঞ্জনকে বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে বিরেল ও রঞ্জন বাকবিতণ্ডায় জড়ায় কিছু সময়। পরে রঞ্জনকে ছুরি দিয়ে জবাই করে খুন করে বিরেল ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিলো। কিন্তু রক্তমাখা হাত দেখে কয়েকজন স্থানীয় তাকে আটকিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে জবাই করা রক্তাক্ত মরদেহের পাশে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বিলাপ করছেন স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে বিরেলই খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। একই কথা জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রীও।

জানা যায়,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ঘাতককে আটক এবং মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় মরদেহ জড়িয়ে কান্না করছিল হতভাগা স্ত্রী।

ওসি ইলিয়াস বলেন, ঘাতক থানা হাজতে আছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের আলামত থাকায় নিহতের স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এদিকে অপর সূত্র বলছে, বিরেল ও রঞ্জন চাকমা স্থানীয় সুপারির বাগানে চাকুরী করতো। আবার আরেক সূত্র বলছে রঞ্জন চাকমা ও তার স্ত্রী রাঙ্গামাটি থেকে আনারস এনে কক্সবাজারে বিক্রি করে। আর আশ্রয় দিয়ে বাসায় স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা এবং রঞ্জন কে খুন করা হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। চাকমা পরিবার বলে স্থানীয়রা তাদের ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর রাখতো না।