বিএনপির সদস্যপদ বাণিজ্য বা টাকা-পয়সা নিয়ে দলীয় সদস্য পদ দেওয়া হলে সেই নেতাকে শুধু বহিষ্কারই নয়, দেশ থেকেও বিতাড়িত করা হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন।
গতকাল (১২ সেপ্টেম্বর) ফেনীর সিও অফিস বাজারে আয়োজিত বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জয়নাল আবেদিন বলেন, “কোনো অসৎ লোককে বিএনপির সদস্য করা যাবে না। যারা অতীতে দালালি, তাবেদারি করে দলের ক্ষতি করেছে তাদের ঠাঁই নেই এই দলে। টাকা-পয়সা নিয়ে সদস্যপদ বিক্রি করলে শুধু বহিষ্কার নয়, দেশ থেকেও বিতাড়িত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য চাই সৎ, আদর্শবান ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়া একটি শক্তিশালী সংগঠন।”
ঘরে ঘরে বিএনপির দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের অধিকার, উপার্জনের ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যা যা করা দরকার, আমরা করব। আমি মরলেও এ আন্দোলন থেমে থাকবে না।”
বঙ্গবন্ধুকে ইঙ্গিত করে জয়নাল বলেন, “গণতন্ত্র কবর দিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আল্লাহ তাকেও রাখেননি। শেখ হাসিনাও হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। ইতিহাস বলে, খুনি ও লুটেরারা দ্বিতীয়বার আর ফিরে আসতে পারে না।”
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, “ডাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী প্রেতাত্মা ও ’৭১-এর রাজাকাররা একসাথে হয়ে যে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে, তা আমরা প্রতিহত করব। ঘরে চোর ঢুকলে সেটি মালিকেরও ব্যর্থতা—তাই নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেনী পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম হেলাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জুলফিকার আলি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞা প্রমুখ।