ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিম। তিনি সদ্যসমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন এবং ৫ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের দিন এক পর্যায়ে শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান হামিম। ওই সময় মোনামি পদত্যাগের হুমকি দিলে হামিম পাল্টা বলেন, “আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী?”—যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তানভীর বারী হামিম ও শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামি।
শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন হামিম। তিনি বলেন, “ম্যাম তখন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে কথা বলেছি, শিক্ষক হিসেবে নয়। তবু তিনি আমার শিক্ষক। আমি ছাত্র হিসেবে উত্তেজিত হয়ে এভাবে কথা বলাটা উচিত হয়নি। সে জন্য আমি নিজেই সব সময়ের জন্য ‘স্যরি’ ফিল করেছি। এভাবে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি। সব শেষে তিনি আমার শিক্ষক।”
ঘটনাটি একটি বিষয়ের প্রতিক্রিয়া নয় বলেও জানান হামিম। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একাধিক অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সেসব বিষয়ে সামগ্রিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। মোনামি ম্যামের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনো পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়নি।
শিক্ষক মোনামিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করা হচ্ছে। তাঁকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হামিম বলেন, ‘সবার সামনে বলতে চাই—ম্যাম, আপনাকে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা লিখেছে তাদের কারো যদি সাংগঠনিক কোনো পরিচয় আছে এমন প্রমাণ থাকে, আমার কাছে দেন। আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’