নেপালের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় তিনি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং ‘জেন-জি’ বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল জানান, সকাল থেকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শীতল নিবাসে টানা আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো হয়। সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে এবং তা আজ রাতেই প্রথম সভা করবে।
এই পদক্ষেপ ‘জেন-জি’ বিক্ষোভকারীদের দাবি পূরণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল।
সুশীলা কার্কি এর মধ্য দিয়ে নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মন্ত্রিসভা জাতীয় সংসদসহ সাতটি প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারে।
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে কেপি শর্মা ওলির সরকার পদত্যাগ করে। এরপর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা বৈঠকের পর ‘জেন-জি’ শিক্ষার্থীরা সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেন। যদিও তার বয়স নিয়ে কিছু আন্দোলনকারী আপত্তি জানান এবং বিকল্প হিসেবে কুলমান ঘিসিং এবং ৩৫ বছর বয়সী র্যাপার-রাজনীতিক বলেন্দ্র শাহের নাম আলোচনায় আসে।
তবে শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয় হলেও বলেন্দ্র শাহ প্রধানমন্ত্রী হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সুশীলা কার্কিকে সমর্থন দেন। বিক্ষোভকারীদের বড় একটি অংশও বর্ষীয়ান এই নেত্রীর ওপর আস্থা রাখছে।