11:02 pm, Thursday, 11 September 2025

ছাত্রদলের পর আরও ৪ প্যানেলের ভোট বর্জন, পুনর্নির্বাচন দাবি

ছাত্রদলের পর আরও ৪ প্যানেলের ভোট বর্জন, পুনর্নির্বাচন দাবি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পর আরও চারটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নতুন তফসিল ঘোষণাসহ পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছেন তারা।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চারটি প্যানেলের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী শরণ এহসান।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এরপর একে একে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়: সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট (একাংশ), এছাড়াও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

বিএনপিপন্থী শিক্ষক গ্রুপের তিন সদস্যও জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের একজন, ড. নাহরীন ইসলাম খান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “ভোট দেওয়ার পর অমোচনীয় কালি দেয়ার নিয়ম থাকলেও, ব্যবহার করা কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে। এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অনেক জায়গায় ব্যালট দেওয়ার পরপরই বাইরে গিয়ে কালি লাগানো হচ্ছে। এটা ভোটের সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার চরম লঙ্ঘন।”

এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন প্রায় ৫৪৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১০২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বামপন্থী, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রসহ মোট আটটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই প্যানেলগুলো অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায়। তারা বলেন, “এই নির্বাচন ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও ইঞ্জিনিয়ারড। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে ফল নিশ্চিত করতেই প্রশাসন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছে।”

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, যেভাবে বানাবেন নিজের থ্রিডি ফিগারিন

ছাত্রদলের পর আরও ৪ প্যানেলের ভোট বর্জন, পুনর্নির্বাচন দাবি

Update Time : 08:46:06 pm, Thursday, 11 September 2025

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পর আরও চারটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নতুন তফসিল ঘোষণাসহ পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছেন তারা।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চারটি প্যানেলের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী শরণ এহসান।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এরপর একে একে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়: সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট (একাংশ), এছাড়াও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

বিএনপিপন্থী শিক্ষক গ্রুপের তিন সদস্যও জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের একজন, ড. নাহরীন ইসলাম খান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “ভোট দেওয়ার পর অমোচনীয় কালি দেয়ার নিয়ম থাকলেও, ব্যবহার করা কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে। এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অনেক জায়গায় ব্যালট দেওয়ার পরপরই বাইরে গিয়ে কালি লাগানো হচ্ছে। এটা ভোটের সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার চরম লঙ্ঘন।”

এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন প্রায় ৫৪৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১০২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বামপন্থী, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রসহ মোট আটটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই প্যানেলগুলো অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায়। তারা বলেন, “এই নির্বাচন ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও ইঞ্জিনিয়ারড। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে ফল নিশ্চিত করতেই প্রশাসন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছে।”