9:30 pm, Tuesday, 9 September 2025

বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

কেপি শর্মা অলি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

নেপালে টানা দুই দিনের টানা উত্তাল বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ এবং সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ সুগম করতেই পদ ছাড়লেন কেপি শর্মা ওলি।

সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিন ধরে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশজুড়ে চলছে টানা বিক্ষোভ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক জায়গায় এই ‘জেনারেশন জেড’ এর প্রতিবাদ ভিন্ন মাত্রা নেয়।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজপথে বিক্ষোভের পাশাপাশি ঘটেছে হামলা-ভাঙচুর। একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার বাসভবনে হামলা চালান বিক্ষুব্ধ জনতা। হামলার শিকার হন সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাও।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের কার্যালয়েও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে প্রাণ গেছে অন্তত ২ জনের, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। কাঠমান্ডুর সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি জানান, “এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও অন্তত ৯০ জন।”

বিক্ষোভ যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল, তখন সংকট সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ওলি। তিনি জানান, “এই সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে আলোচনা। আমি সব পক্ষকে ডেকেছি, সন্ধ্যা ৬টায় বসার কথা। সহিংসতা দিয়ে কিছু হবে না।”

তবে তার এই আহ্বান কার্যকর হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন ওলি।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

Update Time : 04:14:02 pm, Tuesday, 9 September 2025

নেপালে টানা দুই দিনের টানা উত্তাল বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ এবং সংবিধানসম্মত সমাধানের পথ সুগম করতেই পদ ছাড়লেন কেপি শর্মা ওলি।

সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিন ধরে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশজুড়ে চলছে টানা বিক্ষোভ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক জায়গায় এই ‘জেনারেশন জেড’ এর প্রতিবাদ ভিন্ন মাত্রা নেয়।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজপথে বিক্ষোভের পাশাপাশি ঘটেছে হামলা-ভাঙচুর। একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার বাসভবনে হামলা চালান বিক্ষুব্ধ জনতা। হামলার শিকার হন সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাও।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের কার্যালয়েও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে প্রাণ গেছে অন্তত ২ জনের, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। কাঠমান্ডুর সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি জানান, “এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও অন্তত ৯০ জন।”

বিক্ষোভ যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল, তখন সংকট সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ওলি। তিনি জানান, “এই সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে আলোচনা। আমি সব পক্ষকে ডেকেছি, সন্ধ্যা ৬টায় বসার কথা। সহিংসতা দিয়ে কিছু হবে না।”

তবে তার এই আহ্বান কার্যকর হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন ওলি।