নেপালে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে আহতদের চিকিৎসার জন্য রক্তের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। দেশটির জাতীয় ব্লাড ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিসের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার যাদব জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি শত শত আহত রোগীর জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমরা ১ হাজার ২০০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছি, যার মধ্যে ২০০টির বেশি ব্যাগই ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টার এবং বীর হাসপতাাল পাঠানো হয়েছে। বাকি হাসপাতালগুলোতেও শিগগিরই রক্ত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। শত শত তরুণ-তরুণী স্বেচ্ছায় রক্ত দিচ্ছেন, আর আমাদের ২০ জন কর্মী সারাক্ষণ তাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন, যোগ করেন সঞ্জীব কুমার যাদব।
নেপালের সরকার চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করলেও, সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবসহ ২৬টি মাধ্যমকে নিবন্ধন না করায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা ‘জেন জি’ আন্দোলন শুরু করে। গতকাল রবিবার থেকে আন্দোলন গতি পায় এবং সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন তারা। পুলিশের গুলিতে এপর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
রক্তের এই তীব্র চাহিদা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আহতদের সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।