7:25 pm, Tuesday, 9 September 2025

‘চোরের মায়ের বড় গলার দিন শেষ’ ফেসবুকে সতর্ক করলেন সারজিস

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলার দিন শেষ’। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম পোস্টে লেখেন, সম্প্রতি পঞ্চগড়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর চাঁদাবাজির বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। সাধারণ মানুষ তাদের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে তারা ও তাদের সুবিধাভোগী মহল অস্বস্তিতে পড়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রথমবার শুধু সাবধান করেছিলাম। এখন যদি আপনারা চ্যালেঞ্জ করেন, তাহলে এমন প্রমাণ হাজির করা হবে যাতে মুখ দেখানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। তেঁতুলিয়ার সাধারণ মানুষ জানে কারা অবৈধ আয় করছে, আর কতটা করছে।

তার দাবি, এসব প্রমাণ শুধু স্থানীয়ভাবে সীমাবদ্ধ থাকবে না; সারা দেশ তা দেখতে পাবে।

সারজিস আরও অভিযোগ করেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে পাথরের ট্রাকে চাঁদাবাজি, রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন, টেন্ডারবাজির নামে লুটপাট, প্রকল্প ও বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়—সব কিছুর নথি তার হাতে রয়েছে।

তিনি বলেন, কে কাকে দিয়ে কী করাচ্ছে, কার ডান হাত-বাম হাত কে, পরিবারের কোন সদস্য কোন কাজে জড়িত—সব তথ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। সাধু সেজে নেতা হওয়ার নাটক আর চলবে না। সময় হলেই মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

‘চোরের মায়ের বড় গলার দিন শেষ’ ফেসবুকে সতর্ক করলেন সারজিস

Update Time : 08:48:43 pm, Monday, 8 September 2025

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলার দিন শেষ’। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম পোস্টে লেখেন, সম্প্রতি পঞ্চগড়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর চাঁদাবাজির বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। সাধারণ মানুষ তাদের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে তারা ও তাদের সুবিধাভোগী মহল অস্বস্তিতে পড়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রথমবার শুধু সাবধান করেছিলাম। এখন যদি আপনারা চ্যালেঞ্জ করেন, তাহলে এমন প্রমাণ হাজির করা হবে যাতে মুখ দেখানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। তেঁতুলিয়ার সাধারণ মানুষ জানে কারা অবৈধ আয় করছে, আর কতটা করছে।

তার দাবি, এসব প্রমাণ শুধু স্থানীয়ভাবে সীমাবদ্ধ থাকবে না; সারা দেশ তা দেখতে পাবে।

সারজিস আরও অভিযোগ করেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে পাথরের ট্রাকে চাঁদাবাজি, রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন, টেন্ডারবাজির নামে লুটপাট, প্রকল্প ও বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়—সব কিছুর নথি তার হাতে রয়েছে।

তিনি বলেন, কে কাকে দিয়ে কী করাচ্ছে, কার ডান হাত-বাম হাত কে, পরিবারের কোন সদস্য কোন কাজে জড়িত—সব তথ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। সাধু সেজে নেতা হওয়ার নাটক আর চলবে না। সময় হলেই মুখোশ উন্মোচন করা হবে।