4:29 pm, Sunday, 7 September 2025

নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, যুব মহিলা লীগ গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক এনজিও কর্মকর্তাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সরকার অনুমোদিত ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসকেডিএফ) থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন অনুপমা সূত্রধর। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এনজিও কর্মকর্তা রনজিত চন্দ্র বর্মনকে নিজ বাসায় যেতে বলেন তিনি।

রনজিত বাসায় গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনুপমা, তার ছেলে প্রিন্স, স্বামী প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরনসহ আরও কয়েকজন তাকে ঘরের ভেতরে আটকে লোহার রড দিয়ে পেটায়, হাত-পা ও চোখ বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তাকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে, পায়ুপথে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে ব্যাংকের চেক বই আনিয়ে সাদা চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় অনুপমার ছেলে প্রিন্স আদিত্য। এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ প্রযুক্তি সহায়তায় লোকেশন ট্র্যাক করে এসআই শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি রাশেদুল হাসান বলেন, “উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারকে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে চাঁদা দাবি করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অনুপমা ও তার ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

Update Time : 12:48:12 pm, Sunday, 7 September 2025

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক এনজিও কর্মকর্তাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সরকার অনুমোদিত ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসকেডিএফ) থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন অনুপমা সূত্রধর। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এনজিও কর্মকর্তা রনজিত চন্দ্র বর্মনকে নিজ বাসায় যেতে বলেন তিনি।

রনজিত বাসায় গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনুপমা, তার ছেলে প্রিন্স, স্বামী প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরনসহ আরও কয়েকজন তাকে ঘরের ভেতরে আটকে লোহার রড দিয়ে পেটায়, হাত-পা ও চোখ বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তাকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে, পায়ুপথে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে ব্যাংকের চেক বই আনিয়ে সাদা চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় অনুপমার ছেলে প্রিন্স আদিত্য। এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ প্রযুক্তি সহায়তায় লোকেশন ট্র্যাক করে এসআই শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি রাশেদুল হাসান বলেন, “উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারকে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে চাঁদা দাবি করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অনুপমা ও তার ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”