রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাও।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বিষয়টি রোববার সকালে নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, শাফিন সরদার, এনামুল হক জনি ও কাজী অপু।
এর আগে, শুক্রবার রাত ১২টার পর গোয়ালন্দঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়।
ওসি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতা ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলার দরবার শরীফে। পাল্টা প্রতিরোধে নামে দরবারের অনুসারীরা। সংঘর্ষে একজন নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক মানুষ।
পরবর্তীতে, দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই মামলাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। পরে দরবারের ভেতরে তার দাফন সম্পন্ন হয় এবং কবরের ওপর কাবা শরীফের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা। এই বিরোধ থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।