দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থাইল্যান্ড পেয়েছে নতুন প্রধানমন্ত্রী। দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ভূমজাইথাই পার্টির প্রেসিডেন্ট আনুতিন চার্নভিরাকুল নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন।
আনুতিন চার্নভিরাকুল থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভূমজাইথাই পার্টির শীর্ষ নেতা। ৫৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ৩১১ জন এমপির সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, যেখানে প্রয়োজন ছিল ২৪৭টি ভোট।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিউ থাই পার্টির সিনিয়র নেতা চিকাসেম নিতিসিরি। যদিও পিউ থাই থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দল, তবুও ভোটের ফলাফল আনুতিনের পক্ষেই গিয়েছে।
এই নির্বাচন আসে এমন এক সময়, যখন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতের রায়ে পদচ্যুত হন। তিনি ছিলেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ব্যক্তি এবং থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা।
পায়েতংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আনুতিন ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী। তবে জুন মাসে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে পায়েতংতার্নের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। এর জের ধরে আদালতের রায়ে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয় এবং ভূমজাইথাই পার্টিও জোট থেকে বেরিয়ে আসে।
আনুতিনকে সমর্থন দিয়েছে থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টিও। দলটির একজন এমপি জানিয়েছেন, আনুতিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চার মাসের মধ্যে সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করবেন। প্রতিশ্রুতি না রাখলে তারা সমর্থন প্রত্যাহার করবে বলেও জানান ওই এমপি।