ইউক্রেনের যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে ২৬টি দেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বের ৩৫টি দেশের নেতারা। এই বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ ইউরোপের বড় বড় দেশগুলো অংশ নেয়।
ম্যাক্রো জানান, এই দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি জোট, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’। এই জোট ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তবে তিনি কোন কোন দেশ সেনা মোতায়েনে রাজি হয়েছে, সেই তালিকা প্রকাশ করেননি।
জার্মানি এবং অন্যান্য দেশও ইউক্রেনের নিরাপত্তায় যুক্ত থাকার অঙ্গীকার করেছে। তবে জার্মানি জানিয়েছে, সেনা পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এ নিরাপত্তা উদ্যোগে কতটা সক্রিয় থাকবে তা বিবেচনায় রেখে।
বৈঠক শেষে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। হোয়াইট হাউস সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি তেল না কেনার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি চীনের ওপরও চাপ বৃদ্ধির কথা বলেন, কারণ রাশিয়া যুদ্ধ তহবিল সংগ্রহে চীনের ওপর নির্ভর করছে।
ম্যাক্রো আরও জানান, রাশিয়ার জ্বালানি খাত ও চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কোয়ালিশন অব উইলিং যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।