রাজধানীর উত্তরায় মসজিদের পাশের একটি আবাসিক হোটেলে ‘স্পা’র নামে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে পাঁচজন যুবতীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের মসজিদের বিপরীর পাশের ‘দি স্কাই গার্ডেন হোটেল’ থেকে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার কামারগ্রামের ওদুত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা (২৩), নওগার মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রায়হান (২৪), ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকুরি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন সুজন (৩৪), রাজশাহীর মতিহার উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের জাহিদুর রহমানের ছেলে মো. শামীম (৩৯), ঢাকার নবাবগঞ্জের দোহার এলাকার মো. মহসিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামের আজই উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল আলম (৩৫), নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বাকরইল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আবু সায়েম (৪৬), পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার হুগলা বনিয়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা (২৫), শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চরশাওমাতিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে মেরিনা জাহান (৩১), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জুয়ারিকোলা গ্রামের রশিদ আহমেদের মেয়ে শাবেকুর নাহার (২৬), ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ হাওলাদারের মেয়ে আখি ওরফে লিজা (২৮) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বুলতা গাউছিয়া গ্রামের সেলিম হাজীর মেয়ে সেলিনা আক্তার (২০)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন মেয়ে হোটেলটিতে পতিতাবৃত্তি করতো। আর বাকিদের মধ্যে আবু সায়েম হোটেলটির ম্যানেজার, আশরাফুল আলম ফ্লোর ইনচার্জ, রায়হান ও শাকিল ক্লিনার, শাহাদাৎ হোসেন সুজন সেপ এবং ফ্রন্ট ডেক্স রিসিপশনিস্ট পারভেজ ও শামীম।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, হোটেলে ভেতরে বডি মেসেজ আর স্পার নাম করে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ৫ জন নারীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে পতিতাবৃত্তি করার অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পাঠানো হয়েছে।’
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরবাসী ও মসজিদের মুসল্লিদের অভিযোগ- মসজিদের পাশের আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে এরা দীর্ঘ দিন ধরে অশ্লীলতা শুরু করে আসছিল। কিছু আগেও হোটেলের ভেতরে এরা মদের বার চালু করেছিল। সেই সাথে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মেয়ে দিয়ে অর্ধ নগ্ন নাচ গান পরিচালনা করা হত। এরা পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এমন কর্মকান্ড করে আসছিল। গ্রেপ্তার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দু-এক দিন পর আবার সব ম্যানেজ করে আগের মতই চলবে।